একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় হোঁচটটা যে ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করছিল, কে জানত! আজ কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের বিপক্ষে ফাইনালে ৩৬ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্র“য়ারি, ২০২৪) কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ১৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। তবে ১১২ রানে থেমে যায় স্বাগতিরা। ফলে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাসে লঙ্কান নারীরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইভা। আরেক ওপেনার সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণাও থিতু হতে পারেননি। বরং বেশ কিছু ডট খেলেছেন। ১১ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তিনে নেমে হাবিবা ইসলাম পিংকিও দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ৭ বলে করেছেন ৮ রান। চারে ব্যাটিং করতে এসে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন সুমাইয়া আক্তার। তবে ৬ বলে ১০ রান করে কাটা পড়েন তিনি।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন রাবেয়া ও উন্নতি আক্তার। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রাবেয়া এদিনও দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩১ রান। রাবেয়া ফেরার পর আর বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি কেউই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বল হাতে আজ সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অন্য দিনের মতো ভাগ্যও পাশে ছিলো না। ১৪ ওভার ২ বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। তার আগে ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে ফেলে লঙ্কানরা। ১০৪ রানর মাথায় ব্যক্তিগত ৪৯ রানে উদ্বোধনী ব্যাটার দেউম বিহঙ্গ আউট হন। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটার নেটমী সেনারাথে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ৫৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ভিসমী রাজাপাক্ষে দলীয় ১২৭ রানে এবং ১৪০ রানের সময় মানুদি নানায়াক্কারা আউট হন। ৩ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাবেয়া, নিশি ও জান্নাতুল মাওয়া।